কৃষি

শশা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন জয়পুরহাটের প্রান্তিক চাষীরা

0
shosha 1

স্বল্প সময়ের ফসল হিসেবে শশা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা। এবার শশার ভালো দাম পেয়ে শশা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষকদের।

জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর নামক স্থানে বসে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শশাার হাট। এখান থেকেই পাইকাররা শশা কিনে সরবরাহ করে থাকেন দেশে বিভিন্ন স্থানে। দেশি প্রযুক্তিতে চাষ করা ক্ষেতে সুস্বাদু জয়পুরহাটের শশা উন্নত মানের হওয়ায় জেলার গন্ডি পেরিয়ে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

পাইকারী বাজারে এবার শশা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। প্রতিদিন এ গোপালপুর বাজার থেকে ৪০ জন পাইকার শশা কিনে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন।

পাইকারদের মধ্যে হামিদুর রহমান ছানা, জামিল হোসেন, সেলিম, কাওসার আহমেদ ও ফরহাদ জানান, এখানকার শশার চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক করে শশা রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান কৃষকরা 

শশাার বীজ লাগানো থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় এবং তেমন কোনো পরিচর্যাও প্রয়োজন হয় না। ফলে অন্যান্য ফসল চাষের তুলনায় শশা চাষে খরচ কম পড়ে। গোপালপুর শশা হাটের পাশের ফরিদপুর গ্রামের শশা চাষী আজাদুল ইসলাম এবার ১০ কাটা জমিতে শশা চাষ করে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।

এছাড়াও একই গ্রামের তারাজুল ইসলাম এবার এক বিঘা জমিতে শশা চাষ করে ইতোমধ্যে ৫৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন এবং আরো ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হবে এমন শশা জমিতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে কোঁচকুড়ি গ্রামের মুকুল হোসেন এবার দেড় বিঘা জমিতে শশা চাষ করে ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকার শশা বিক্রি করেছেন বলে জানান। শশা দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে মৌসুম শেষ পর্যায়ে চলছে তারপরেও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা খুশি বলে জানান।

জেলায় এবার ৫ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। জয়পুরহাটের গোপালপুরে উত্তরাঞ্চলের সব চেয়ে বড় শশাার হাট বসে উল্লেখ করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, জয়পুরহাটের শশা সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের ফসল শশা চাষ লাভ জনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে শশা চাষে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উদ্যোক্তা জার্নাল/মাসুদুজ্জামান রাসেল

২৬ বাংলাদেশি পেলো কমনওয়েলথ বৃত্তি

Previous article

সৌদি আরবের মক্কায় কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জোড়া সাফল্য

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More in কৃষি